বদ জাতির হুজ্জতি — বাংলা Transcript

Triangular Vishon
14 min readMar 31, 2021
আমরা যেগুলো নিয়ে কথা বলেছি সেগুলো এখানে পেয়ে যাবে।

পায়েল তাড়ভি আর রোহিত ভেমুলার মা Supreme Court-এ একটা appeal করেছিলেন। তার ভিত্তিতে Supreme Court একটা নির্দেশ দেন যে, আমাদের দেশের কলেজ এবং university-তে caste-ভিত্তিক যে discrimination-গুলো হয়, তার একটা report চেয়ে ছিলেন। এবং এই ধরনের খবর যখন আসে তখন একটা প্রশ্ন জাগে মনে যে এই caste-এর origin-টা কোথায়? কোথা থেকে আসছে?

দুটো দল আছে। একদলের মত হচ্ছে এরকম যে, caste জিনিসটা হিন্দু ধর্মের একটা part। আবার কেউ কেউ বলবে যে, না না caste জিনিসটা কিন্তু আলাদা।

এই বিষয়টা নিয়েই যখন আম্বেদকর জাতিভিত্তিক practice নিয়ে refer করেছিলেন, তার উত্তরে গান্ধীজী বলছেন যে, এই যে scriptures-গুলো, এগুলো কি আসল না misinterpretation সেটা কী করে জানা গেল? এবার তার উত্তরে আম্বেদকর যেটা বলছেন, একটা scripture, সেটা misinterpreted না আসল, এর যাচাইতে আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু যায় না। কারণ তারা original-টা কোনদিন পড়তে যায় না। তারা যেটা করে, পণ্ডিতেরা যা বলছেন সেটাকেই তারা ভেবে নেয় সত্যি। তাই এই সমস্যাটা বোধহয় হয়।

কোন text-এ লেখা আছে, কে কতবার লিখেছে, কত হাজার বছর, একশো বছর আগে, সেটা কেন important হবে? এটায় যদি কোন যুক্তিই না থাকে আমি…

হ্যাঁ, আসলে একটা জায়গায় মনে হয় যে এই caste-এর যে difference, এটা অনেকটা ওই power struggle থেকে এসেছে। কেন? এই caste system-এ রাজপুতদের জায়গাটা জাঠদের ওপরে কিন্তু বর্তমানে প্রতিপত্তিতে, ক্ষমতায়, জাঠরা রাজপুতদের ওপরে চলে গিয়েছে।

তুই হয়তো বলতে চাইছিস যে পয়সার দিক থেকে যার বেশি দর আছে সে জাতে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু recent কিছু ঘটনা আমি পড়ার পরে, আমার এটা মনে হয়নি। আমি তোকে বলছি ব্যাপারগুলো কী রকম। কিছু মাস আগে কেরালাতে একজন CPI MLA। সে যুব কংগ্রেসের অফিসের সামনে ধর্নায় বসে। এবং সে নিচু জাতের। ধর্না হয়ে যাওয়ার পরে member-রা তার ধর্নার জায়গাটাকে গোবর দিয়ে নিকিয়ে নেয়। CPI MLA, আমি একটু খোঁজ করছিলাম, সে কি… সত্যি তার পয়সা কড়ি কম? আর এই ঘটনাটা হচ্ছে কর্ণাটকের — BJP-র MP একটা গ্রামে গেছে। সেখানে যাদবদের গ্রামের ভেতর দিয়ে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি কারন সে নিচু জাতের ছিল।

হয়তো এই কারণেই আম্বেদকর বলেছিলেন যে, হিন্দু ধর্ম এবং তার যে society, সেটা অনেকটা একটা multi-storeyed building যার মধ্যে কোন staircase নেই, সিঁড়ি নেই। তুমি যে জায়গায় জন্মাচ্ছ সেখানেই তোমায় মরতে হবে। তোমার কোনো উত্তরণের সম্ভাবনা নেই।

এটা হয়তো কিছুটা ইচ্ছে করেই caste-টাকে আরো বেশি করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ তুই দেখবি caste based যে election, তাদের প্রার্থী বা তারপরে তাদের যে rally-গুলো করে, সেখানে কিন্তু প্রচন্ডভাবে caste আসে। যদি হঠাৎ করে একদিন ঠিক হয়, caste জিনিসটাকে আর বলা যাবে না, এরকম কিছু একটা করে দিল। তাহলে তো ভয়ঙ্কর সমস্যা হবে! কারণ তখন তো কাজের নিরিখে ভোট দিতে হবে লোককে! অরুন্ধতী রায়ের তুই যে বইটার কথা বলছিলি, সেও বলছে, আমরা কিন্তু democracy দিয়ে caste-টাকে কোনদিনই ভাঙতে পারিনি। বরঞ্চ যেটা হয়েছে জিনিসটাকে অনেক modernize করা হয়েছে।

এবং রাজনীতির কথা যখন বলছিস তখন communism-এও একটা সমস্যা রয়েছে। তারা মনে করে caste division-টা actually class division-এর একটা form। এবার এটা যারা বলছে সেটা কিন্তু আমার মনে হয় privilege থেকেই সম্ভব। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে class-টা উঠে গেলেও কিন্তু caste জিনিসটা মুছে যাচ্ছে না।

Caste জিনিসটাকে ignore করে মনে হয়।

সেই জায়গাতেই আবার আম্বেদকরের কথা বলতেই হচ্ছে যে, caste কিন্তু division of labors করছে না, division of laborers করছে। মানুষগুলোকে আলাদা করে দিচ্ছে একেবারে। আমরা হয়তো এতক্ষণের কথাবার্তায় গান্ধীজী আম্বেদকর, এদের নিয়ে কথা বলছি যারা এখন নেই। আমি অনেকের সাথে interact করতে গেলে তারা বলেন যে, “এখন তো সের’ম ভাবে caste discrimination অতটা হয় না, এখন অনেকটা মানুষ open minded হয়েছে।” এরকম তারা বলে থাকেন।

তাহলে তারা খবর দেখে না। আর কী বলা যায়!

United States-এ ওখানকার যে ভারতীয়রা, তাদের দাবি ওখানকার text-এ কোনভাবেই এই জাত ব্যবস্থাটা যেন ভারতের, সেটা mention করা না থাকে। তার বদলে বরং বলা থাকুক south Asia-র। তাহলে যেন ব্যাপারটা এরকম যে ভারতে জাতের ব্যাপারটা নেই।

পায়েল তাড়ভির ঘটনাটা তুই দেখ না! একজন ডাক্তার তাকে clerk বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে! এবার বারে বারে এটা চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তারও সেটা ভয় ছিল যে তার ওপর যে এই caste discrimination-টা হচ্ছে সেটা হয়তো ragging হিসেবে পাস করিয়ে দেবে। কারণ সবাই তো ignore করবে। “Caste discrimination হয় না।”

অনেক ক্ষেত্রে তাই হয় তো!

সমস্যাটা হচ্ছে ওই যে — জানত যে তার suicide note-টা পুড়িয়ে দেওয়া হবে। তার একটা ছবি তুলে রাখল। এবং সেই ছবি তুলে রেখেছিল বলেই আজকে আমরা এই কথাগুলো বলতে পারছি।

তুই পায়েল তাড়ভির কথা বললি তো? একই রকমের ঘটনা রোহিত ভেমুলার সাথেও হয়। এবং সেটা নিয়ে হয়তো আলোচনা বেশি হয়েছিল দেশে। রোহিত ভেমুলা একটি দলিত ছেলে। Hyderabad University-র ছাত্র। ছাত্র রাজনীতিও করছে তার সাথে। এবং কিছু university-রই বিষয় নিয়ে আন্দোলন, বিক্ষোভ করে। তার ফলেই তার stipend বন্ধ হয়। ABVP-র ছাত্রর সাথে কোনো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ায় — এই কারণ দেখিয়ে তাকে hostel ছাড়া করা হয়। তারপরও কিন্তু সে কিছুদিন আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিল কিন্তু ultimately তাকে আত্মহত্যা করতে হয়। এবার এটা যখন প্রকাশ্যে আসে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দেশে। এবার সেই সময়ই কেন্দ্রের একজন খুব important মন্ত্রী, সুষমা স্বরাজ, মন্তব্য করলেন যে রোহিত ভেমুলা দলিত নয়। এবার এই মন্তব্যটা কতটা ঠিক কতটা ঠিক নয় সেটা জানতে গেলে কিন্তু ছেলেটার অতীত জানতে হবে। আমরা দেখেছি documentary-টায় যে ছেলেটার মা দলিত ছিলেন। তাকে adopt করেন একজন। তারপর তার যার সাথে বিয়ে হয়, সে প্রথমে জানতই না যে সে দলিত। পরে যখন জানতে পারে, তার ওপর অত্যাচার হয়। সেটা রোহিত ভেমুলা দেখেছে।

তারপর ওর দাদারও তো সেরকম ঘটনা হয় যেখানে transfer certificate-এর জন্য 6000 টাকা ছিল না। ওই জন্য college-এর senior বলে যে, ঠিক আছে আমি help করে দেব। কিন্তু ultimately তাকে যখন থাকতে দেয়, তাকে ঘরের চাকরের মত…

Interesting ব্যাপারটা হল এই সমস্ত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও ছেলেটার suicide note-টা কিন্তু রয়ে গিয়েছে। Internet-এ গেলে পড়তেও পারা যায়। বিষয়টা হচ্ছে 2016 সালে একটা ছেলে জাতের কারণে মারা গেল। এই লজ্জাটা কার?

কিছু জাতের লোকই specifically, drain-এ নেমে যাবে, পাঁক ওঠাবে, এটাই চলে আসছে। এবং এইটা Supreme Court নিয়ম করে বন্ধ করলেও এটা চলছে।

হ্যাঁ, সেটা করতে গিয়ে মারাও যাবে।

Statistics সব সময় চেপে যাওয়া হয়। কিন্তু কমিয়ে বললেও সেটা ভয়ঙ্কর।

Inter-caste marriage-এর জন্য মানুষ মানুষকে খুন করছে। এক MLA-র মেয়ে। সে upper caste-এর। এক দলিত ছেলেকে বিয়ে করেছে পালিয়ে গিয়ে। বেরিয়ে গিয়ে Facebook-এ live হচ্ছে এবং বলছে যে তাকে death threat দেওয়া হচ্ছে। এবার বিষয়টা হচ্ছে, এরা তো একটা privileged জায়গা থেকে belong করে, তারা এই জিনিসটা করতে পারছে। এর’ম ঘটনা আমাদের rural area-য় বহু হয়। সেগুলো কিন্তু সামনেই আসে না।

তুই যেটা বললি যে lower caste-এর ছেলে upper caste-এর মেয়ে হলে violence হয়। সেটা ঠিক। কিন্তু যদি ছেলেটি upper caste হয়, মেয়েটি lower caste হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় violence-টা অনেক কম হচ্ছে। ছেলেই তো তোমার নির্ধারণ করবে যে তোমার জাত কী হবে! এবং এই ধরনের যে punishment একটা দেওয়ার প্রবণতা…

হ্যাঁ, punish করার আরও তো উপায় আছে! কী রকম বলি। এক নিচু জাতের বাচ্চা ছেলে মহারাষ্ট্রের কোন মন্দিরে ঢুকে পড়েছিল। তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে? গরম ইটের উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশে একটা বরযাত্রী যাচ্ছিল। এবং বাকিদের সমস্যা হচ্ছে যে নিচু জাতের ছেলে হয়ে তুমি celebrate করবে কেন? তুমি ঘোড়ায় চাপবে কেন? তুমি বাজি পোড়াবে কেন? এবং আমরা এত right to education নিয়ে কথা বলছি, সেখানে গুজরাতে মনে হয়, class 12-এর একটা ছেলে, সে পরীক্ষার hall-এ যাচ্ছে। সেই hall-এর মাঝপথ থেকে রাস্তায় তুলে নিয়ে তাকে প্রচণ্ড রকম মারধর করে তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

তুই যেটা বলছিস সেটার সাথে ভীষণ মিলে যায়। অরুন্ধতী রায়ের একটা essay আছে, “The Doctor and the Saint”। তাতে উনি refer করছেন, গৌতম ধর্মসূত্রে mention করা রয়েছে যদি কোন শূদ্র বেদ পাঠ শুনে ফেলে intentionally, তাকে শাস্তি পেতে হবে। কী সেই শাস্তি? তার কানে গরম টিন ঢেলে দেওয়া হবে। এবার এটা শাস্ত্রের কথা বললাম। মহাকাব্য? রাজার কাছে এক ব্রাহ্মণ এসেছেন অভিযোগ জানাতে। তার ছেলে মারা গিয়েছে। “কেন আমার সাথে এরকম ঘটনা ঘটল?” রাজা এক সভা বসিয়েছেন গুণী মানুষজনদের নিয়ে। তারা বুঝলেন যে কোন এক জঙ্গলে, কোন এক শূদ্র সাধনা করছে ব্রাহ্মণ হওয়ার জন্য। সেই পাপেই এর’ম হয়েছে। এবার রাজা কী করেন? রাজাকে তার মুন্ডচ্ছেদ করতে হয়। এবারে এই শূদ্র, তিনি হচ্ছেন শম্বুক এবং আমাদের রাজা হচ্ছেন রামচন্দ্র।

এটা না হয় শম্বুক এর গল্পটা আমি জানতাম না। কিন্তু এই গল্পটা এরকম যে, কিছু রাজপুত্র মিলে তীর চালানো শিখছে একজন নামকরা গুরুর কাছে। এবং আদিবাসী একটা ছেলে আছে। যখন রাজপুত্ররা শেখে, সে তখন ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে শিখে নেয়। হঠাৎ করে একদিন এটা ফাঁস হয়ে যায় যে একটা আদিবাসী ছেলে আছে সে খুব সুন্দর তীর চালায়। রাজপুত্রদের মধ্যে যে সব থেকে ভালো তীর চালায়, সে insecure হয়ে যায়। তখন কী করে সেই যে teacher, সে আদিবাসী ছেলেকে গিয়ে বলে যে, “খুব ভালো কাজ করেছ! তুমি self taught! সব ঠিক আছে। আর তোমায় তীর চালাতে হবে না। তুমি আঙুলটা কেটে দিয়ে দাও বাবা! এইটা তোমার গুরুদক্ষিণা।” ব্যাস, কেটে দিয়ে দিল। এই যে ঘটনাটা আমাদের পড়ানো হয়, “গুরুদক্ষিণার একটা দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত”। আমি কিছুদিন আগে একটা article পড়লাম এই গল্পটা নিয়েই। “এই যে দ্রোণাচার্য এই কাজটা করলেন, যদি এটা না করতেন, কেউ চিনতেই পারত না একলব্যকে। এই কাজটা করিয়ে একলব্যকে অমর বানিয়ে দিয়েছেন।” আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, এই ধরনের যে পুরনো পুরনো গল্প, তাদের society-র অন্যরকম চিন্তাভাবনা ছিল, হতেই পারে। সেগুলো এখনও কেন justification তার দেওয়া হবে? লোকজন কি খুব নিরপেক্ষ থেকে এই গল্পগুলো পড়তে পারে না?

দেখ নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আমার দ্বিমত আছে। কেন? না একটা গল্পের কথা আমার মনে পড়ছে, “চতুর্থ পানিপথের যুদ্ধ”, সুবোধ ঘোষের লেখা। এবার সেই গল্পে আমরা দেখেছি স্টীফান হোরো সারা গল্প জুড়ে যুদ্ধ করে যায়। শেষে সেই যুদ্ধে হেরেই যায়। এবার সেখানে লেখক বলেছেন যে আমরা যারা ওই উঁচু জাত, privileged, তারা কিন্তু নিরপেক্ষ ভাবে দেখে দেখে স্টীফান হোরো কে হারিয়ে দিলাম। আমার প্রশ্ন এখানেই যে, নিরপেক্ষতা এখানে কিন্তু important নয়। তার থেকেও বড় কথা, যারা পিছিয়ে আছে সহানুভূতিটা, মানবিকতাটা তাদের জন্যই তো থাকা উচিত (* আজ্ঞে না, সবার জন্যই থাকা উচিত *)। সেটা কিন্তু হচ্ছে না।

উল্টে punish করা হচ্ছে।

দেখ punishment-এর কত উদাহরণ আর দেব! মহারাষ্ট্রের এক দলিত পরিবারের ঘটনা। সেখানকার কর্ত্রী সুরেখা। সে লেখাপড়া শিখেছে। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে। তাদেরও লেখাপড়া শেখাচ্ছে। সেটাই হয়েছে অপরাধ। তার চারিদিকের উঁচু জাতের লোকেরা, তারা তার বাড়িতে electricity আসতে দিচ্ছে না, বাড়ি পাকা করতে দিচ্ছে না। তারপর এমনকি এক আত্মীয়কে পিটিয়ে মেরেও ফেলল। এইসব ঘটনার পর সুরেখা পুলিশের কাছে গেল। অভিযোগ জানালো। তার ভিত্তিতে কেউ আবার গ্রেফতারও হল। গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথেই মোটামুটি ছাড়া পেয়ে গেল এবং সেই রাতেই তারা চড়াও হল সুরেখার বাড়িতে। তার ছেলেদের বলা হলো মা এবং বোনকে ধর্ষণ করা হোক। তারা করতে চাইল না। তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। মা এবং মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হল।

কিছুদিন আগের একটা ঘটনা। উত্তরপ্রদেশে প্রচন্ড জলের crisis ছিল। সেখানে একটা গ্রামে দলিতদের সেই জলের crisis-এর মধ্যেই, গ্রামের মধ্যে যে কলগুলো আছে সেই কল থেকে তাদের জল নিতে দেওয়া হয়নি। এবং যখন government থেকে জলের tanker এসেছে, তখন তাদের গ্রামে পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি।

তুই এটা আজকের ঘটনা বলছিস, আম্বেদকরকে এই রকম ঘটনা face করতে হয়েছে। উনি হায়দ্রাবাদে গেছেন। এবার ওখানেও একই রকম কোন একটা public tank থেকে জল খেতে যান। তাকে ঘিরে ধরে কিছু মুসলমান মানুষজন। তারা খুব রেগেই আছে। তাকে একটা particular term use করা হয়, ‘dhed’, যার মানে ওই অস্পৃশ্য। এবার আম্বেদকর এখানে important observation আনছেন যে হিন্দু ধর্মের কাছে তো উনি অস্পৃশ্য কিন্তু অন্য ধর্ম, তাদের কাছেও কিন্তু তারা অস্পৃশ্যই থেকে যাচ্ছে। কোনভাবেই বেরোতে পারছে না। এবার এই যে সমস্যা, এটার থেকে কিন্তু মরেও মুক্তি হচ্ছে না কারণ একদম সাম্প্রতিক একটা ঘটনা খবরের কাগজে আসে। এক দলিত মারা গিয়েছে…

ভেলোরে…

তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি হয়নি। তাকে কোথা থেকে ঝুলিয়ে দিয়ে নাকি এর’ম করে…

দড়ি দিয়ে নামানো হয়েছে।

এসবগুলো হচ্ছে!

তারা যে আদেও শাস্তি পেয়েছে কিনা সেটার কোন follow-up খবর আমরা দেখতে পাইনি। হয়তো সত্যিই পায়নি। খোঁজ করতে গিয়ে যেটা পেলাম, বেশি বেশি করে দলিত বা নিচু জাতের লোকদের কিন্তু frame করা হয়। একটা report বের করে National Crime Records Bureau বলে, সেখানে আমাদের গোটা দেশে যতজন কয়েদি আছে, তাদের composition বের করা হয় — কোন ধর্ম? তার জাত? সেইখানে দেখা যাচ্ছে যে গোটা population-এ দলিতের যত percentage, সেটা কয়েদিদের মধ্যে দলিতের percentage তার থেকে অনেক বেশি! আর এর সাথে সাথে Status of Policing in India বলে একটা report বেরোয়। সেখানে বলে যে পুলিশরাও মনে করে যে দলিত লোকদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অনেক বেশি। এবার সেইটা কেন বেশি? একটা survey-এর through দিয়ে জানা যায় যে duty-তে তারা বহাল হলে তাদের একটা caste sensitization একটা program হয় যেখানে বোঝানো হয় যে নিচু জাত তুমি আলাদা চোখে দেখতে পারো না। এই জিনিসগুলো কিন্তু এখন follow করা হয় না পুলিশে।

দেখ সমস্যাটা কিন্তু আরো গোড়ায় কারণ caste sensitization-এর কোন শিক্ষা, সেটা কিন্তু স্কুল-কলেজেই দেওয়া হয় না। সেখান থেকেই তো সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে।

আমাদের বইয়ে তো শুধু বর্ণ system চারটে দেখিয়ে বন্ধ করে দেয়। তারপর আর কিছু বলে না।

Absolutely!

ঐতিহাসিক ব্যাপার। ওটা আর নেই। এইরকম গোছেরই হয়তো একটা চিন্তা-ভাবনা। এবার যে কিছু কিছু common festival, সেগুলোর কিন্তু একটা অন্যরকম একটা version থাকে। সেই ধরনের version-এ কী হয়, যাকে মারা হচ্ছে (সে) আদিবাসী হয় এবং naturally আদিবাসীদের version-টা হচ্ছে যে তাদেরকে কোনভাবে কষ্ট দেওয়া হয়েছে বা তাদের উপর একটা caste discrimination হয়েছে। যেমন ধর দুর্গাপুজো ঘিরেও একটা গল্প আছে। এবং এই গল্পটা হচ্ছে যে মহিষাসুরের বংশধর তো সত্যি কিছু মানুষ আছেন যারা অসুর tribe-এ belong করেন? তাদের কাছে তাদের যে tribal রাজা, সেই tribal রাজার সাথে একটা বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। এবার গোটা privileged যে group-টা — নিজের বন্ধুদের মধ্যে, নিজের বয়সী লোকজন বা বাড়ির লোকজন, এদের মধ্যে caste নিয়ে যে কোন discussion হলে তার শুরু আর শেষ reservation দিয়েই হয়। একপক্ষ বলে, “উঁচু জাতরা তো অনেক privileged অনেক বছর থেকে। সেই কারণে হয়তো এই ব্যাপারটা আছে।” আর যারা উঁচু জাতের, তারা বলে যে দেখো reservation থাকলে কিন্তু merit-কে একদম তোয়াক্কাই করছ না তুমি। আমার যেটা মনে হয় যে merit-এর কথা যখন, management quota-টা কী ধরনের merit-এর একটা representation? সেটা তো merit হতেই পারে না! ধর যত public transport system, সেগুলোকে আমি equal বানাতে চাইছি মানে equal opportunity দিতে চাইছি। কিছু লোকে বলবে, “একটা কাজ কর না, তুমি এরকম করে দাও যে, যে কেউ public transport -এ উঠতে পারবে। সবার জন্য খুলে দাও।” কিন্তু আমার সমস্যা হচ্ছে যে সবার জন্য equally সব seat রেখে দিলে কি সত্যিই তাদের opportunity দেওয়া হবে? যারা মহিলা বা যারা প্রতিবন্ধী (*বা বয়স্ক*), তাদের জন্য যদি কোন seat reserved-ই না থাকে, তারা তো কিছুদিন পর আর avail করতে পারবে না public transport। তাহলে এইখানেই বোধহয় equality আর equity-এর মধ্যে এই তফাৎটা হয়ে যাচ্ছে যেটা ওই reservation-এর… আর আমাদের দেশে না হয় এটা caste-ভিত্তিক হয়, USA-তে একটু অন্যরকম হয়। সেখানে ওই কালো চামড়ার মানুষ, তাদের মধ্যে আর যারা ওখানকার সাদা চামড়ার লোকজন, তাদের মধ্যেও এই gap-টা কিন্তু আমাদের মতই। সেখানে তাদের (কৃষ্ণাঙ্গ) জন্য যখনই কোন compensatory treatment, সেটা যখনই করা হয়েছে তখন exactly আমাদের দেশে যে রকম বলে, “Equality থাকুক না! তুমি extra দেবে না!”

সেই এই reservation-এর প্রসঙ্গেই অরুন্ধতী রায়ের একটা খুব important কথা আছে — merit যেটা নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে, merit-টা কিন্তু একটা nepotism-এরই অন্য রূপ। কী রকম? Reservation জিনিসটা তো আমাদের এই ব্যবস্থার মধ্যেই রয়েছে। তুই বল, ব্রাহ্মণ এর ছেলে ব্রাহ্মণ হবে। অন্য কেউ হতে পারবে না। এটা কি এটা reservation নয়? এটাও তো reservation-ই হচ্ছে। এবং যারা discriminated তাদের reservation দেওয়া হচ্ছে — এবার reservation পাচ্ছে বলে তাদের আবার discrimination করা হচ্ছে — আবার reservation দিচ্ছ। মানে ব্যাপারটা তো চক্রের মধ্যে আটকে যাচ্ছে। বেরোতে তো পাচ্ছে না।

একটা figure আছে gross enrollment ratio বলে। সেটা বলছে যে 18 থেকে 23 বছরের মধ্যে যারা আছে, তাদের মধ্যে কত percentage higher education-এ যাচ্ছে? West Bengal-এ 100 জন তফসিলি মানুষের মধ্যে শুধু 10 জন পড়াশোনা করে। তাহলে আমি যদি তাদের জন্য reservation-টা না রাখি, আরো বাকি অন্তত 40 জন, 50 জন, 60 জন, তারা এগিয়ে আসবে কী করে? তোমাকে যদি reservation-টা বন্ধ করতে হয় মানে সেই pain killer-টা বন্ধ করতে হয়, তুমি operation-টা করাও! মানে caste system-টাকে বাদ দাও! না হলে এটা কী করে হবে?

যখন এই reservation, merit — এই নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেখানে কিন্তু media-র role-টা বেশ অন্য রকমের। কী রকম? যে দলিতরা, নিচু জাতরা সারাক্ষণ কুসংস্কারগ্রস্থ। শুধুই কালা জাদু এইসব করছে!

১৫ই আগস্টের একটা ঘটনা। সেখানে বলল যে অনুপ সর্দার নামে একজন ভদ্রলোক। কিছুতেই জ্বর কমছে না। তাকে অনেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার স্ত্রী নিয়ে গেছে। এবার তাদের যখন সব পয়সা শেষ হয়ে গেছে তখন স্ত্রী বলেছে যে আমার আর আর.জি.কর-এ নিয়ে যাওয়ার মতো পয়সা নেই। সেটা একদম quote unquote করা আছে আনন্দবাজারে। এবং ঠিক দু’দিন পরে naturally লোকটা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়। তখন তারা (আবাপ) পুরো narrative পাল্টে এরকম করে দেয় যে তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তাদের কাছে পয়সা ছিল! এবং সেখানে আবার quote unquote করে তার স্ত্রী বলেছে যে, ইশ! একটু যদি আগে আমরা নিয়ে যেতাম হাসপাতালে, তাহলে বাঁচানো যেত! এবার সেখানে আমাদের রাজ্যের একজন মন্ত্রী বলেছেন যে, এইসব ঘটনাগুলো হয় বলেই কিন্তু আমরা শতাব্দি শতাব্দি পিছিয়ে যায়। এবার তুই যেটা বলছিস যে বারে বারে মানুষজন ভাবে, উঁচু জাতের লোকজন ভাবে, নিচু জাতের লোকজন শুধুই কালা জাদু করে। তারা নিজেরাও তো কালা জাদু করে! Upper caste-এর যদি তুই বলিস কালা জাদু, সেটা তো অনেকটা astrology-র মতই! সেটা তো এক ধরনের superstition। সেটার মধ্যে কোন rationality নেই, কোন logic নেই, কোন science নেই।

চ্যানেলের পর চ্যানেল রয়েছে টিভিতে দেখবি শুধুই এই জ্যোতিষ হচ্ছে এবং hypocrisy-র জায়গা কী রকম যে হনুমান কোন মতেই দলিত হতে পারে না। হনুমান কিছুতেই দলিত নয়।

আর একটা documentary-র কথা বলি যেটা national award পায় investigative documentary-র জন্য। সেখানে দেখাচ্ছে একটা scene-এ যে, এই যখন এত মারপিট হচ্ছে, সেখানে একজন দলিত মহিলা, সে তার বাড়ির উঠোনে বসে বলছে যে, এই যে যারা মারপিট করছে মন্দির-মসজিদ করে, এইসবে আমরা যাই না। কারণ মন্দিরই হোক, সেখানে তো আমাদের এমনিতেও ঢুকতে দেবে না।

জাতপাতের যে ব্যাপারটা, এটা আসলে এতটাই সহজাত মানে এতটা deeply rooted না, আমরা privileged মানুষরা realize করতে পারি না। কেমন জিনিস ধর, আমরা অনেক সময় গালাগাল দেওয়ার সময় কী রকম বলে থাকি? বজ্জাত, ইতর, চামার, এগুলো বলছি গালাগাল হিসেবে। খুব casually বলে দিচ্ছি। এগুলো কী হচ্ছে? মানে এগুলো তো একটা পুরো জনজাতি কে আমি কী বোঝাতে চাইছি? গালাগাল দিচ্ছি। এবং সেখানেই আবার কী রকম hipocrisy তুই ভাব! যখন কাউকে nigger বলা হচ্ছে তখন আমরা বলছি, কী racist comment!

Caste identity দেখানোটাই খুব problematic। তুমি হয়তো কাউকে discriminate করছ না। হয়তো… হয়তো করছ না। কিন্তু তুমি যে মুহূর্তে নিজের caste-কে তুলে ধরছ, তুমি জাহির করছ, তার মধ্যেও তুমি কিন্তু এই caste discrimination বা এই caste system-টা, তুমি সেটাকে endorse করছ। “আমি caste-টাকে খুব follow করি কিন্তু আমি অন্য caste-দের একদম সমান চোখে দেখি।” সেটা একটা illusion! এটা হতে পারে না। এবার ধর এমন কিছু যেটা গালাগাল নয় কিন্তু সেটা নিজেদের মধ্যে করছে যেমন ব্রাহ্মণরা পৈতে পড়ে। তোমার যদি যুক্তি, বুদ্ধি, rationality তোমার মধ্যে থাকে, তুমি পড়বে না। মানবিকতা থাকলেই তুমি পড়বে না।

আরে পৈতে পরার ব্যাপারটা কী রকম বল তো? ওই নিজের উঁচু জাত কে জাহির করা। সেরকমই আবার equal ব্যাপার বলতে পারি, ওই জাঠরা, তাদের গাড়িতে sticker লাগাচ্ছে। যে এই জাঠ আমি বা এই সমস্ত হচ্ছে। এবার জিনিসটার পেছনে আমার কিন্তু কোন হাতই নেই।

তোমার যেটা বাপ ঠাকুরদার যে occupation, তুমি কি সেটা continue করতে বাধ্য? মানে অন্য কিছু চাইলেও করতে পারবে না? আমার প্রশ্নটা সেখানেই।

এখানে একটা অন্য মজা আছে। ধর, ব্রাহ্মণের ছেলে হয়ে তুমি পুরোহিত হচ্ছ না। বৈশ্যের ছেলে হয়ে তুমি ব্যবসা করছ না, IT company-তে চাকরি করছ। সে সব ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ে করার সময় বলছ, আমার নিজের জাতের মেয়ে চাই! যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার বেনেই চাই! এ হচ্ছে তো!

পাতার পর পাতা classified, পাত্র-পাত্রী চাই, এই এগুলো illegal যদি হয়? Caste কখনই আর তোমার identity হতে পারে না। এবার এখানে তাও ভালো লোক খারাপ লোক হয়তো থাকে। কেও কেও সত্যি ওগুলোকে (*caste*) use করে, কেও কেও use করে না।

গান্ধীজী এখানে বলছেন, Annihilation of Caste-এর চিঠিতেই যে হিন্দু ধর্মের ভালো উদাহরণগুলোকে আপনি দেখছেন না কেন? ওই চৈতন্য, রামকৃষ্ণ। সেখানে আম্বেদকর বলছেন যে খারাপ উদাহরণ যদি এত বেশি থাকে, তাহলে জনগণ কী করবে? সেগুলোকেই follow করবে! এবং সেখানে অবশ্যই caste system-টা promoted হবে। কোনভাবেই তুমি বন্ধ করতে পারবে না। রোমান সভ্যতায়, সেখানেও একটা ভাগ ছিল, patricians — plebeians। সেখানে plebeians-দের parliament-এ ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি ছিল না।

আর patrician-রা সেই জন্মগত ভাবে patrician হিসেবে জন্মাত!

Exactly! এবং সে জিনিস কিন্তু abolished হয়ে গেছে বহুদিন আগে।

জানি না এটা কবে হবে কিন্তু ধর, একটা দিক থেকে বলছি যে আমরা কী ভাবে, কোন জিনিসটা নিয়ে culture করছি? Culture-এর মধ্যে কোনগুলো আসছে? যেমন ধর, অরণ্যের দিনরাত্রি। ওখানে যে আদিবাসী মেয়ের character-টা সিমি গারেওয়াল করে, তার আদব-কায়দা, পোশাক-আশাক সব ঠিক আছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল গায়ে একটা বিদ্ঘুটে রং মাখিয়ে, আমার মনে হয় যে সেখানে তালে এটাও একটা cultural appropriation?

হ্যাঁ, কিন্তু আমি জানি না। সত্যজিৎ রায় তো সদগতিও বানিয়েছেন! সেই জায়গাটা তো…

হ্যাঁ অবশ্যই, লোকটাকে খারাপ বলছি না আমি। এবার ধর, Court-এর গল্পটার মধ্যেই এরকম ছিল যে তারা ওই দলিতদের নিয়েই গানগুলো করছে তাদের কষ্টগুলো বুঝিয়ে। বাংলাতে কিন্তু লালন গেয়ে গেছে জাত নিয়ে।

প্রচুর জায়গায়! জাতের যে সমস্যা সেইটা নিয়ে বহু গান আছে। এবং খুব direct আছে। এবং তুই ইদানিং সময়ের কথা যদি বলিস…

এই episode বিষয়ক আরও কিছু জানা আছে কি? আমাদের mail করে পাঠাও!

📧 mail@triangularvishon.com

--

--

Triangular Vishon
0 Followers

A podcast in Bengali on things we love and ideas we care about. www.triangularvishon.com